পাশবিক ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশু আছিয়ার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সেইসঙ্গে ১৩ মার্চকে ‘আছিয়া দিবস’ হিসেবে পালন করারও প্রস্তাব দেন তিনি। জামায়াতের আমির বলেন, দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদের সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে এমন সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে যেখানে শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ থাকবে নিরাপদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি এমন প্রস্তাব দেন দলটির আমির।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মাগুরায় বর্বর নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া ইতিহাসের করুণ সাক্ষী হয়ে আজ দুপুর ১টার দিকে সারা দেশকে কাঁদিয়ে চলে গেলো (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তায়ালা তাকে একান্ত প্রিয় হিসেবে কবুল করুন, আমিন।’
আমির আরও উল্লেখ করেন, ‘মহান রবের দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন আছিয়ার পিতা-মাতাসহ আপনজন নির্বিশেষে বিবেকবান দেশবাসীকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।’
মানুষ নামের যে পশুরা পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে নিষ্পাপ এই শিশুটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিলো, জামায়াতের আমির তাদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, ধর্ষকদের এই শাস্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এমন শাস্তি কার্যকর করতে হবে যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ।
প্রসঙ্গত, মাগুরা পৌর এলাকায় বোনের (শ্বশুর) বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত বুধবার (৫ মার্চ) দিনগত রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবার জানায়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ মারা যায় সে।