চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বলে কথা। আর সেখানে খেলছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে রোমাঞ্চকর কিছু না হলে কী হয়। একটি ম্যাচে যা যা দরকার, মাদ্রিদ ডার্বিতে সবই ছিল। ম্যাচের শুরুতে নিজেদের ভুলে গোল হজম রিয়ালের।
সুযোগ পেয়েছিল ফেরানোর। কিন্তু পেনাল্টি মিস করলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। গোল না হওয়ায় দুই লেগে মিলে ২-২ স্কোরশিট। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও অমীমাংসিত। পেনাল্টিতে ২-৪ গোলে শেষ হাসিটা হাসল লস ব্ল্যাঙ্কোস-ই।
বুধবার (১২ মার্চ) অ্যান্টোনিও রুডিগারের শীতল স্নায়ুর পেনাল্টিতেই নিশ্চিত হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট। অথচ এই ম্যাচটা হতে পারত ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুঃস্বপ্নের রাত! বনে যেতে পারতেন খলনায়ক। কিন্তু সেটা হয়নি।
অ্যাটলেটিকোর ঘরের মাঠ মেট্রোপলিটানোতে। খেলার শুরুর মিনিটে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাঘের। রিয়ালের ডিফেন্স তখনো এলোমেলো।
পুরো প্রথমার্ধেই কার্লো আনচেলত্তির দল ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না। অ্যাথলেটিকো একের পর এক আক্রমণ কোন রকমের ঠেকিয়ে দিয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য রিয়াল নিজেদের ঝাঁকিয়ে নেয়। এবং মোক্ষম সুযোগটা এসেই যায়—এমবাপ্পেকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় অ্যাথলেটিকো। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এগিয়ে এলেন পেনাল্টি নিতে এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে মিস করলেন।
বাকি সময়ে দু'দলের চেষ্টা করেছে। ম্যাচ গোলালো অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও অমীমাংসিত থাকায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ালো শুট আউটে।
শুটআউটের শুরুতেই অ্যাথলেটিকোর জুলিয়ান আলভারেজ বড় ভুল। বল মারতে গিয়ে দুইবার স্পর্শ করে ফেললেন! এরপর লুকাস ভাসকেজ সুযোগ হারালেন, কিন্তু অ্যাথলেটিকোর মার্কোস লরেন্তে তাদের ভাগ্যের শেষ কফিনে পেরেক ঠুকে দিলে বলটি বারে মেরে।
এরপরই এল রিয়ালের চিরচেনা মঞ্চ। শেষ শট নিতে এলেন অ্যান্টোনিও রুডিগার। এলোকাঙ্খিত গোল। জয় পেলো রিয়াল মাদ্রিদ।