গাজীপুরর গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. বাহারুল আলম।
আর কিছুদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদযাত্রায় প্রতিবার মতো এবারও ঢাকা ছাড়বেন অসংখ্য মানুষ। এ সময় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি রোধে সারা দেশে বিশেষ নজরদারি থাকবে, তারপরও বাড়িঘরে তালা দিয়ে ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. বাহারুল আলম।
আজ বৃহস্পতিবার(১৩মার্চ )সকালে গাজীপুরর ভোগড়া বাইপাস এলাকায় শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্ভুক্তি সরকার কাজ করছে। এখানে যাদের মধ্যে আঘাত লেগেছে বা সংক্ষুব্ধ তারা চাইছে যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়, প্রশাসন ব্যর্থ হয়। কিন্তু তাদের প্রতিহত করাই আমাদের কাজ।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মানুষের সম্পত্তি, বাসা বাড়িতে চুরি, ছিনতাই রোধের জন্য সারা দেশে বিশেষ নজরদারি থাকবে। তারপরও প্রত্যেকে বাড়িঘর তালা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন।
এর আগে শিল্প পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণে এক কল্যাণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সিবগাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান, ডিআইজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ইসরাইল হাওলাদার বক্তব্য রাখেন। এ সময় ডিআইজি আবু কালাম সিদ্দিক, গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম, বিজিএমইএর এর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ।
কল্যাণ সভায় আইজিপি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের কোনো রাজনৈতিক আনুগত্য নেই। আমি বিএনপি, আওয়ামী লীগ বুঝি না। ৫ আগস্টের আগে পুলিশের রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য কলঙ্কিত হয়েছে। এটা করে পুলিশ মানুষের বিরুদ্ধে গেছে। কিছু লোকের উচ্চাভিলাষ, অন্ধ ও অন্যায় আনুগত্যের জন্য এটা হয়েছে। তাদের ভুলের জন্য কাজ করতে গিয়ে পুলিশকে মরতে হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে আমাদের যে লোকগুলো মারা গেছে তাদের ভুলের জন্য জীবন দিতে হয়েছে। এই দায়ভারটা যিনি জীবন দিয়েছেন তার তো নয়। এই দায়ভার যিনি অর্ডার করেছেন তার, তাকে অবশ্যই পানিশমেন্ট পেতে হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি, যারা এ অন্যায় করেছেন তাদেরকে অবশ্যই পানিশমেন্ট পেতে হবে এবং যিনি বাধ্য হয়ে এই কাজটা করেছেন, আমার বিশ্বাস আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবেন।
আইজিপি বলেন, আমাদের কাজ করতে দেন। অনুগ্রহ করে আমাদের ওপর আক্রমণ করবেন না। আমরা তো সমাজ এবং দেশেরই লোক। কীভাবে সমাজে স্থিরতা আসবে, কীভাবে আমরা নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচনের দিকে এগুবো, আমরা যদি আস্থা না আনতে পারি। আমাকে কেন কাজ করতে দিচ্ছেন না। এটা তো টোটালি যুক্তিহীন একটা কাজ। এতদিন পরে এখনতো আর আবেগতাড়িত হওয়ার কিছু নাই। পুলিশতো মানুষের শত্রু নয়। এই জায়গাটায় দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করি, আমাদের কাজ করতে দেন।