মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।
শুক্রবার (০৭ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে শহর জড়ো হন কয়েকশ মানুষ। পরে তারা থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। থানার ভেতর প্রবেশের চেষ্টা করেন। ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৮ বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মেয়েটির মা বলেন, তার মেয়ের এখনও জ্ঞান ফিরে নাই। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে মেয়ে একাই ছিল। এ কারণে কে তাকে ধর্ষণ করেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারছেন না তারা।
মাগুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বলেন, শিশুটি এখনো ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। তারা নিয়মিত শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ রাখছেন।
এছাড়া পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটির বোনের জামাই সজিব শেখ (১৮) ও শ্বশুর হিটু শেখকে (৪৭) আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সজিব শেখের কথায় বেশ অসংলগ্নতা পাওয়া গেছে। বাবা-ছেলে দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বোনের জামাই ও শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে।