আহতের স্ত্রী জহুরা খাতুন জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভারতের কলকাতার মধ্যম গ্রামে লেবারের কাজ করতেন বিল্লাল সানা। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশে আসার উদ্দেশে ৭-৮ জন একসঙ্গে বের হন। পরে রাতে বিএসএফ তাদের দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন বিল্লাল। এ সময় বিএসএফ বিল্লালের ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বিএসএফ মৃত ভেবে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যান বিল্লালকে। পরে মোবাইলে খবর পেলে বিকেলে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন তার স্বজনরা।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মহেশপুর ৫৮-বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, সীমান্ত টহলের সময় গুরুতর আহত অবস্থায় বিল্লালকে পাওয়া যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।