Published : Sunday, 26 January, 2025 at 2:40 PM, Update: 26.01.2025 2:43:32 PM
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন করতে হলে তফসিল ঘোষণাসহ ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে করার প্রত্যাশও রেখেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন কানুন বিধি বিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন।
গেল বছরের বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে ধারণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।
এর মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি বিএনপির তরফে বলা হয়, আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে তারা সংসদ নির্বাচন চান।
ওই সময় সিইসি বলেছিলেন, রাজনৈতিক কোনো বক্তব্যের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ‘ঢুকতে চায় না’।
“আমরা আইন-কানুন, বিধি-বিধান, সিস্টেমের মধ্যে থাকব।”
সবশেষ বৃহস্পতিবার ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ পটুয়াখালীতে বলেছেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে যদি ভোট হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ সুন্দর হবে বলে আশা করা যায়।
এর মধ্যে ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে ইসি, যা চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সুপারিশে অনেক কিছু থাকে, বাস্তবায়ন কঠিন
এদিন আগারগাঁওয়ে চলমান সংস্কারে সীমানা পুননির্ধারন, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির ‘স্বাধীনতা খর্ব হবে’ বলে মনে করছেন সিইসি নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, “স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাইনা। এই সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে।"
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজের সমালোচনা করে সিইসি বলেন, “সুপারিশে অনেক কিছু দেওয়া যায়। বাস্তবায়ন করা কঠিন।"
‘ভাঙা’ নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে অন্তর্ভূক্তিমূলক করার পাশাপাশি সব অংশীজনকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে প্রায় ১৫০ সুপারিশ রেখেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
সীমানা নির্ধারণে কমিশনের হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশকে দ্বিমত প্রকাশ করে সিইসি বলেছেন, এটা ‘ইসির এখতিয়ার’।
"পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারো হস্তক্ষেপ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না "