খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকারকে (২৬) গুলি করে হত্যার কারণ এখনো স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ তিনটি সম্ভাব্য কারণ নিয়ে তদন্ত চালালেও পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কারও বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন অর্ণবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। একটি গুলি তার মাথায় বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর রাতেই তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষ না হওয়ায় আটক ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের তিনটি গুলি ও শটগানের গুলির একটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ অর্ণবের বাবার ঠিকাদারি ব্যবসা, তার ব্যক্তিগত জীবন বা নারী-ঘটিত সম্পর্কের জটিলতাকে কেন্দ্র করে বিরোধের কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা নিয়ে কাজ করছে।
শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে অর্ণবের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা অভিযান শুরু করেছি। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিবার বিকেলে মামলা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।