ভারতে আগামী মাসে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবি।
বিজিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, যেখানে বিজিবি ছাড়াও দেশের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণও অংশগ্রহণ করবেন। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই এবং বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো গোপনীয়তার চেষ্টাও করা হয়নি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৈঠক হয়ে থাকে। মহাপরিচালক পর্যায় ছাড়াও রিজিয়ন পর্যায়ে, সেক্টর পর্যায়ে এবং ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে এসব বৈঠক হয়ে থাকে।
যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব বৈঠক দুই দেশেই অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান তিনি।
গত ২৪ জানুয়ারি ‘বিজিবি প্রধানের ভারত সফর নিয়ে গোপনীয়তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এক পত্রিকায়।
এ ধরনের প্রতিবেদন বিজিবির ভাবমূর্তি বিনষ্টের পাশাপাশি জনমনেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে মন্তব্য করে বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে যে মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন হতে যাচ্ছে তা গত ২৭ ডিসেম্বর ফেসবুক পোস্টে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এই পোস্টের ওপর ভিত্তি করে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়টি তুলে ধরেছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করা কিংবা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি।
গত ১৪ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ময়মনসিংহে বলেন, শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে আগামী মাসে বিজিবি এবং বিএসএফের ডিজি পর্যায়ে আলোচনা হবে। যেহেতু আমাদের কিছু অসম চুক্তি করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে চিঠিও দেয়া হবে; যেগুলো অসম চুক্তি আছে সেগুলোর সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়।