কয়েকদিন আগেই যুদ্ধ বিরতির চুক্তি করেছিল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তারেই অংশ হিসেবে আজ তিন নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) গাজার আল-সায়রা স্কয়ারে তাদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেন হামাসের যোদ্ধারা। এরপর জিম্মিদের গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের কাছে নিয়ে যায় রেডক্রস। সেখান থেকে তাদের ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
তারা বলেছে,‘কিছুক্ষণ আগে প্রতিরক্ষা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সেনারা মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের নিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন। এখন জিম্মিরা দক্ষিণ ইসরায়েলের প্রাথমিক গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। সেখানে তাদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে এসব জিম্মিকে ধরে নিয়ে যায় হামাস। এরমধ্যে ওই বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। ওই সময় ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এরপর চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার পর সামরিক শক্তি ব্যবহার করে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা জিম্মিদের মরদেহ আনতে পেরেছে।
রোববার থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলবে ৪২ দিন। এই সময়ে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। অপরদিকে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেবে। প্রথম ধাপ চলার সময় দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে। ওই ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি এবং গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সাবেক জিম্মি রোমি গোনেন, এমিলি দামারি এবং দোরোন স্টেইনব্রিচার এ মুহূর্তে নিরাপদ আছেন। তারা আমাদের কাছে আছেন। তারা বাড়ি ফিরছেন।’
গাজায় জিম্মিরা অমানবিক অবস্থায় আছে দাবি করে হ্যাগারি আরও বলেন, ‘যেসব জিম্মি এখনো অমানবিক অবস্থায় গাজায় আছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমরা তাদের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছি।’