নির্বাচনের ঘোষণা তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইসিসি কার্নিভাল হলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের শেষ অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
ফখরুল বলেন, ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করবো। তবে রাতারাতি সব পরিবর্তন সম্ভব নয়। অতীতের সব অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেই শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে ২ বছর আগেই বলেছি। এজন্য ৩১ দফা আমরা দিয়েছি। অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কার। আমরা রাজনৈতিক সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। অনেকে এই গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি বলব এটা গণঅভ্যুত্থান। এজন্য আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলছি।
কী ধরনের সংস্কার হবে এ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২ বারের বেশি হতে পারবেন না। সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট হবে। যারা নির্বাচন করেন না কিন্তু তারা যেন দেশ চালানোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন এ ব্যবস্থা করবো। আমরা বৈষম্য দূর করতে চেষ্টা করব। এজন্য নির্বাচনের পর আমরা জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য দরকার সেসব প্রতিষ্ঠানকে গত ১৫ বছরে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সংস্কার করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, পারবো না এ কথা বলা যাবে না। আমরা জনগণের কাছে ঐক্যবদ্ধ। অনেকেই আশা করছেন ৬ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সব পেরে যাবে যা আসলে সম্ভব না। এজন্য আমরা নির্বাচনে বেশি জোর দিচ্ছি। আমাদের সংসদে কখনো গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। আমরা চেষ্টা করে দেখি পারি কি না।