Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার ■ ভারতীয়দের ধাওয়া, সীমান্তে আবারও উত্তেজনা ■ জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের ■ এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৪৬ শতাংশই স্কুলপড়ুয়া ■ এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া ■ ‘চোরদের আর ভোট না দিয়ে, ভালো মানুষকে আনেন’ ■ আমরা এতোদিন ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে থেকেছি
এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৪৬ শতাংশই স্কুলপড়ুয়া
Published : Saturday, 18 January, 2025 at 2:46 PM

আত্মহত্যা বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আঁচল ফাউন্ডেশন

আত্মহত্যা বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আঁচল ফাউন্ডেশন

দেশে ২০২৪ সালে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ স্কুলপড়ুয়া। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ২০২২ সালে ৫৩২ জন এবং ২০২৩ সালে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন। সেই হিসাবে বিগত দুই বছরের চেয়ে এবার আত্মহত্যার হার কম। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আত্মহত্যা সম্পর্কিত রিপোর্ট মিডিয়াতে কম এসেছে বলে তারা মনে করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের আত্মহত্যার তথ্য বিগত বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করেছেন তারা। সেখানে দেখা যায়, ২০২২ সালে দেশে আত্মহত্যাকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৩২ জন। ২০২৩ সালে ছিল ৫১৩ জন। সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারী মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১০ জন। তাদের মধ্যে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন।

ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৯ বছরে বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ের শুরু থেকে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারীদের ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ কিশোর বয়সী।

আত্মহত্যার তালিকায় এরপরই রয়েছেন ২০ থেকে ২৫ বয়সসীমার তরুণরা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে এ বয়সীরা প্রায় ২৪ শতাংশ।

শিশুদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা গেছে। এক থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুর আত্মহত্যার তথ্য উঠে এসেছে, যা প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। সবচেয়ে কম রয়েছে ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মানুষ, ২ দশমিক ৯ শতাংশের কাছাকাছি।

আত্মহত্যা করা ৬১ শতাংশই নারী

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যার প্রবণতা সব লিঙ্গের মধ্যে দেখা গেছে। তবে নারীদের মধ্যে তুলনামূলক বেশি। আত্মহত্যা করা ৩১০ জনের মধ্যে নারী প্রায় ৬১ শতাংশ।

পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হারও কম নয়। প্রায় ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তৃতীয় লিঙ্গের এবং ট্রান্সজেন্ডারদের মধ্যে একজন করে আত্মহত্যা করেছেন, যা মোট সংখ্যার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

স্কুলপড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি

প্রতিবেদনে দেখা যায়, এসএসসি বা সমমান অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী। এরপরই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। এ হার ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। তথ্যমতে, ২০২৪ সালে এ পর্যায়ে আত্মহত্যার হার ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আত্মহননের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে এ স্তরের ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে স্নাতকোত্তর এক দশমিক ৯ শতাংশ, ডিপ্লোমা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, সদ্য পড়াশোনা শেষ করা শিক্ষিত তবে বেকার শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি গলায় ফাঁস

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের ঘটনা সবচেয়ে বেশি, যা ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে ঘটে। বিষপানে আত্মহত্যার হার প্রায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া আত্মহত্যাকারীদের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ অন্যান্য পদ্ধতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। যেমন- ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, পানিতে ডুব দিয়ে, ট্রেনে কাটা পড়ে, ছুরি দিয়ে আঘাত, ঘুমের ওষুধ খেয়ে ইত্যাদি।

অভিমানে আত্মহননের ঝোঁক

অনেক সময় অভিমান শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে এতটা বিপর্যস্ত করে তোলে যে, তারা আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অভিমানের কারণে এ পথ বেছে নিয়েছেন। এরমধ্যে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষার্থী ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষার্থী ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং উচ্চতর শিক্ষা স্তরের ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সায়্যেদুল ইসলাম সায়েদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. জামাল উদ্দীন, আইনজীবী ও লেখক ব্যারিস্টার নওফল জামির, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ প্রমুখ।

দেশ সংবাদ/এসএইচ


আপনার মতামত দিন
উৎপাদনে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
Tuesday, 7 January, 2025
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up