বৈষম্যবিরো ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাক্ষাৎ করতে যাবে। সেখানে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের বাস্তবতা ও ঐতিহাসিক দাবির মুখে সরকার প্রোক্লেমেশন জারির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
তারা বলেছেন, আলোচনা শেষে অবিলম্বে প্রোক্লেমেশন জারি করার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কোনো প্রকারের কালক্ষেপণ ও গড়িমসি ছাত্র-জনতা বরদাশত করবে না। কালক্ষেপণ হলে আমরা দ্রুতই সারা দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
সেখানে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা জুলাই প্রোক্লেমেশন জারির আহ্বান জানিয়ে এসেছিলাম। জাতীয় নাগরিক কমিটি আমাদের এই দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে। প্রোক্লেমেশন ইস্যুতে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও দলিল সংরক্ষণের স্বার্থে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আমরা ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের প্রোক্লেমেশন জারি করার ঘোষণা দিয়েছিলাম।
কারণ, এ ছাড়া এই অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক, আইনি ও আন্তর্জাতিক ভিত্তি এবং সমর্থন আদায় করা কঠিন হবে বলে আমরা মনে করেছি। এমনকি বিদ্যমান সংবিধানের বিরুদ্ধে সংঘটিত এই গণ-অভ্যুত্থানের আইনি ভিত্তি প্রদান আমাদের বিবেচনায় ছিল।
পরবর্তীতে ৩০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে তারা জুলাই অভ্যুত্থানের প্রোক্লেমেশন জারি করবে। আমরা প্রাথমিকভাবে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশ করি। ওই সমাবেশ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রোক্লেমেশন জারির আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।