২০০২ সালের ১০ নভেম্বর মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনায় বিচারক বলেন, এ মামলায় মোট সাক্ষী ছিলেন ৪১ জন। এর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এ মামলা থেকে গোলাম ফারুককে খালাস দেয়া হলো।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. আবু জাফর রিজভী। পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গোলাম ফারুক অভি পলাতক আছেন। তার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহ্ ইলিয়াস রতন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
২০০২ সালে ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। পরে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়।
এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে মামলার আসামি শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।