জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হয়েও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন লিটন দাস। তবে দল ঘোষণার দিনেই নিজেকে প্রমাণ করলেন ডানহাতি এই ওপেনার। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
৪৪ বলে ৮ চার ৭ ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন লিটন। বিপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির দিক থেকে এটি দ্বিতীয়। আর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে দ্রুতগতির সেঞ্চুরির রেকর্ড।
বিপিএলে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ। ২০১২ সালে রাজশাহীর বিপক্ষে ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তার পরেই জায়গা করে নিলেন আজ লিটন। দ্বিতীয় অবস্থানে অবশ্য লিটনের সঙ্গেই আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইল। ২০১২ সালের আসরে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
অনেকদিন ধরেই ব্যাট হাতে তেমন ফর্মে নেই লিটন। সাদা বলের ক্রিকেটে গত বছর তেমন রানেরই দেখা পাননি তিনি। বাজে ফর্মের কারণে বাদও পড়েছেন জাতীয় দল থেকে। অবশ্য আবার দলে ফিরেছেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেননি। বিপিএলের ঢাকা পর্বেও পাননি রানের দেখা। তবে সিলেটে এসেই যেন বদলে গিয়েছেন তিনি।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলার পর রাজশাহীর বিপক্ষে করলেন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ক্রিকেট খেলেছেন লিটন। সেট হওয়ার পর ২৪ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। সেখান থেকে পরের ৫০ রান করতে নেন ২০ বল।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন তারকা এই ক্রিকেটার। ৫৫ বলে ১০ চার ও ৯ ছক্কায় থেমেছেন ১২৫ রানে। লিটনের সেঞ্চুরির দিনে সেঞ্চুরি করেছেন তানজিদ তামিমও। ৬৪ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৮ রান করেছেন তিনি। দুই ওপেনারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৫৫ রানের রেকর্ড গড়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।