ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহনের চলাচল কম থাকে। কলকারখানার বেশির ভাগ বন্ধ। ঢাকায় বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস হলো এই যানবাহন ও কলকারখানার দূষিত ধোঁয়া। তারপরও ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করে।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৫২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মিশরের কায়রো। এছাড়া ২৪২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এদিকে ২৩১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা। আর ২১৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
প্রসঙ্গত, আইকিউএয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যারা নিয়মিত বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করে এই একিউআই সূচক, যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
উল্লেখ্য, আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ, অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ রোগীদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। তাই তাদেরকে বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।