Published : Wednesday, 8 January, 2025 at 10:16 AM
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের আগস্টে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে তাকে ফেরত দিতে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এর মধ্যেই জানা গেল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন কয়েকটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে, হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ঢাকার পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতে অবস্থানের সুবিধার্থে সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিসা বাড়ানো হয়েছে। ভারতে শরণার্থী এবং অ্যাসাইলামের কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই উল্লেখ করে দেশটিতে হাসিনার অ্যাসাইলাম মঞ্জুরের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে সূত্রটি।
বিস্তারিত উল্লেখ না করে ভারতীয় সূত্রটি আরও জানায়, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর পদক্ষেপটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং এটি করা হয় স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) মাধ্যমে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, গুম ও জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় সরকার শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন অপরাধে ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই বিপ্লবে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জন এবং গুমের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার চিঠির কোনো উত্তর এখনও ভারত দেয়নি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস