বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লক এলাকায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ ১৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে বিএসএমএমইউর এই দুই চিকিৎসক ছাড়াও নার্স, গাড়ির চালক ও অফিস সহকারী রয়েছেন।
রোববার (০৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাদের বরখাস্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বরখাস্ত দুই চিকিৎসক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম এবং চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ।
অন্যরা হলেন- পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায়, মো. সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল) ও সুইপার সন্দীপ।
সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জল মোল্লা; পরিবহন শাখার চালক সুজন বিশ্ব শর্মা; বহির্বিভাগের (ওপিডি-১) এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি; ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা।
আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে সংগঠিত হত্যার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এসব চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।