Published : Saturday, 4 January, 2025 at 7:27 PM, Update: 05.01.2025 2:19:54 PM
নির্ধারিত সময়ে এ বছরের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করবে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আরো জানিয়েছেন সংস্কার নিয়ে বৃহত্তর ঐকমত্যে পৌঁছাতে তার সরকার চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দল ও সমাজের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক বৃহত্তর সংলাপ শুরু করবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর নিউ এজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান। সাক্ষাৎকারটি আজ শনিবার প্রকাশিত হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের চার মাস পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোন পর্বটা ভালো বা খারাপ লেগেছে—এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খারাপ কোনোটাই না। খারাপটা বলবো না। তবে এটা ভিন্ন, আগে ছিলো আমার নিজস্ব জগত, সারাজীবন ধরে যা যা করে আসছি তার মধ্যেই ছিলাম। নিজস্ব আয়োজন, নিজস্ব চিন্তা। তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। সেটা আমার মতো করে আমি ট্যাকেল করেছি। আমার উত্তরগুলো দিয়েছি। আমি আমার মতো করে চলেছি। সেটা একেবারেই আমার নিজস্ব জগত। এটা একটা ভিন্ন জগত। এটা আমার নিজস্ব জগত না।
তিনি আরো বলেন এই জগতে আমি কোনোদিন ছিলাম না। থাকার কোনো আগ্রহও ছিলো না। এটার ডান-বাম আমার জানা নেই। অনেকটা হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে চলার মতো অবস্থা। কাজেই ভিন্ন জগত। কিন্তু এটা একটা চ্যালেঞ্জ আছে। আমাকে আহ্বান জানিয়েছে, তবে প্রথমে একটু সংকোচ করছিলাম যে যাওয়া ঠিক হবে না। যেহেতু আমি এই জগতের মানুষ নই। তারা আমাকে পার্সুয়েট করেছে যে, এই পরিস্থিতিতে আপনার আসা দরকার। শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছি। এইভাবে তোমরা প্রাণ দিয়েছো, রক্ত দিয়েছো। আমার জন্য না হয় একটু চ্যালেঞ্জিং হলো। তাহলে আমি যাই। সেভাবেই আমি রাজি হলাম। কাজেই ভিন্ন জগতের মধ্যে চলছি। দেখা যাক কতদূর যেতে পারি।
আগস্টের ৮ তারিখ এই জগতটা যদি আপনার জন্য শুরু না হতো, তার পেছনের যে ৪ মাস। মনে হয় ততদিনে আপনার জেলে থাকার কথা ছিলো? এই প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, হয়ত, তখন আমি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কোন কোন দেশে যাবো। বাংলাদেশে যাতে ফিরে যেতে না হয়। একটি উপলক্ষে আমি আরেক দেশে ছিলাম। সেখানে বসে প্রস্তুতি নিচ্ছি ফিরে যাওয়া ঠিক হবে কিনা। যাওয়ার সময় উত্তেজনা দেখে গেলাম। কারফিউ দেখে গেলাম।
এর ভেতর দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। কাজেই উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। কারফিউ ভেঙেই গেলাম, না হলে যেতে পারতাম না। ভাগ্যিস পথে কেউ ধরেনি। তবে অত কড়াকড়ি কারফিউ ছিলো না। এমন অবস্থা দেখে গেছি, ক্রমাগতভাবে এটা দেখছি। পত্র-পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখছি। কাজেই ক্রমাগতভাবে ফিডিংটা পাচ্ছিলাম। তারমধ্যেই এই ঘটনা ঘটলো। এটা অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা। তখনো বুঝিনি এর মধ্যে আমাকে জড়িত হতে হবে। এরমধ্যে একটা ভূমিকা পালন করতে হবে। কাজেই চার মাস এভাবেই গেছে আমার।