চলতি আসরে তৃতীয় ম্যাচেই সর্বোচ্চ ২০৩ রান সংগ্রহ করেছিল খুলনা টাইগার্স। এবার তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেল চিটাগং কিংস। উসমান খানের সেঞ্চুরিতে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেল মিথুনরা।
মিরপুরে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান সংগ্রহ করেছে চিটাগং। আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান উসমান আউট হয়েছেন ১২৩ রানে। রাজশাহীর সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিন আহমেদ ২২ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।
টানা দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজশাহী। তবে টস হারলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে বরং ভালো হয়েছে চিটাগংয়ের। হার দিয়ে আসর শুরু করা দলটি জয়ের জন্য পেয়েছে ভালো পুঁজিও। তবে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেতে দায়িত্বটা নিতে হবে বোলারদেরই।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি মিথুনদের। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং। ২ বল খেলে তাসকিনের বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। বল হাতে এর পরের সময়টা রাজশাহীর জন্য তিক্ততার। শফিউল ইসলাম-হাসান মুরাদদের তুলোধুনো করে ৯ ওভারের মধ্যে দলকে শতরানে পৌঁছে দেন উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্ক। দুজনের ১২০ রানের জুটি ভাঙে ইনিংসের ১১তম ওভারে। ২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪০ রান করে সোহাগ গাজীর শিকার হন ক্লার্ক।
তবে অপরপ্রান্তে আগলে রেখে ঝড় তুলে যান পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান। ৪৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কার মারে তুলে নেন বিপিএল ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চলতি আসরে এটি কোনো ব্যাটারের প্রথম শতক। তার সঙ্গে ৫.১ ওভার ব্যাট করে ৬৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন। ১৫ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রায়ান বার্লের বলে ক্যাচ তুলে দেন চিটাগংয়ের এ অধিনায়ক। অন্যদিকে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করে ১৯তম ওভারে আউট হন উসমান। তাসকিনের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৬১ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। শেষদিকে হায়দার আলীর ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে আসরের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় চিটাগং।
রাজশাহীর হয়ে এদিন বল করেছেন ৭ জন। সবাই তুলোধুনো হলেও সফল ছিলেন কেবল তাসকিন। সবচেয়ে মিতব্যয়ী থেকে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আগের ম্যাচেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। ৭ উইকেট নিয়ে বিপিএলে গড়েছিলেন ইতিহাস। তাসকিন ছাড়া আজ ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সোহাগ গাজী, শফিউল ইসলাম ও রায়ান বার্ল।