প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের মতো বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের আরেক উৎস রপ্তানি আয়েও ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। টানা তিন মাস চার বিলিয়ন (৪০০ কোটি) ডলারের বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) চার মাসই চার বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়েছে।
মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে যে খাত থেকে, সেই পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও রপ্তানি আয় বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারকরা।
সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৬২ কোটি ৭৫ লাখ (৪.৬২ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত বছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক (আরএমজি) থেকে। এ খাতে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলারে। ২০২৩ সালে ছিল ৩২১ কোটি ৪ লাখ ডলার।
কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১ লাখ ডলারে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা ডিসেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ডলারের। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলারে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।