ভোটার হালনাগাদের ২০২৫ সালের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে দেখা গেছে, দেশে মোট ভোটার বেড়ে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন ভোটার ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩১২ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভোটার হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
দেশে নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেশি। মোট পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩। মোট নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ৯৯৪ জন।
এবার সাতটি দেশের প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় আনা হয়েছে। তালিকায় ১৩ হাজার ১৫১ জন প্রবাসী ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ আগামী ২০ জানুয়ারি শুরু হবে। ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে আগামী ২ মার্চ।
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ভোটার তালিকাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে বর্তমান কমিশন।
ভুল এড়াতে অনলাইনে নতুন ভোটারের আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম তাদের ভোটার করা হবে। আর ২০২৫ সালে ভোটার হবার উপযুক্ত হবেন তারা ভোট দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি হতে পারে, তবে সেটা আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোটারের বয়স নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত হলে সময়মতো ব্যবস্থা নিবে কমিশন। পুরো ভোটার তালিকা যাচাই হবে।