শুধু শেখ হাসিনা ইস্যুতে দিল্লি–ঢাকা সম্পর্ক আটকে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবেশীসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দেশ সবার সাথেই সুসম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে উন্নয়নে কাজ করে যাবে ঢাকা। শুধু শেখ হাসিনা ইস্যুতে আটকে থাকবে না বাংলাদেশ–ভারত সর্ম্পক।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দিল্লিতে অবস্থান করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে তার নামে শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরই মধ্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। তবে দিল্লি এখনও এ বিষয়ে কিছু জানায় নি।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ হাসিনাকে বিসর্জন দেবে না। ভূ-রাজনৈতিক কারণ বিবেচনায় তারা হাসিনাকে ফেরত দেবে না। ভারত মনে করে এই প্রত্যর্পণে রাজি হলে প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।
অবশ্য বুধবার উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক শেষে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, সরকারের অবস্থান হচ্ছে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার বিচার করা।
জুলাই–আগস্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গঠিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন চলতি মাসের মধ্যই তাদের প্রতিবেদন দিতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জানুয়ারির মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন প্রতিবেদন দেবে বলে সরকার আশা করে।
ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি নবায়নের টেকনিক্যাল কাজ চলছে বলে জানান তিনি। এছাড়া এ মাসেই দ্বিপাক্ষিক সফরে চীনে যাওয়ার কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।