ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই, ঘুরছে তার নিয়মে। যার প্রতিটি সেকেন্ডের সঙ্গে মিশে আছে নানা ঘটনা আর নানান ইতিহাস। সেসব ঘটনায় মানুষ স্মৃতিকাতর হয়; আবেগে আপ্লুত কিংবা আনন্দে উদ্বেলিত হয়। এভাবে মানুষ এক সময় পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে।
অসীমের পানে মহাকালের যে যাত্রা, সেখানে সূচিত হয় আরেকটি মাইলফলক। এই যে মহাকালের যাত্রা, সেখানে একেকটি বছর আসে নতুন উদ্দীপনা ও প্রেরণা নিয়ে। গত হয়ে যাওয়া বছরের গ্লানি আমরা মুছে ফেলি, উৎসাহ খুঁজে পাই সুখকর ঘটনাগুলো থেকে, এরপর এগিয়ে যাই অগ্রগতির দিকে।
পুরনো দিনের ভুল শুধরে নতুনকে আলিঙ্গন করে নব প্রত্যয়ে, নব আশায়। কালের গর্ভে হারিয়ে যায় একটি বছর। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪) মধ্যরাতের পর মানুষ বরণ করে নিচ্ছে নতুন বছরকে। নতুন সূর্য উঁকি দিবে পুরাতনের গ্লানি ভুলে।
গ্রেগোরিয়ান পঞ্জিকার নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়ার ঊষালগ্নে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে জমকালো আয়োজনে মেতে ওঠে বিভিন্ন দেশ, দেশের মানুষ, যা ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ নামে পরিচিত। থার্টি ফার্স্ট নাইটের ছোঁয়া পৃথিবীর নানান দেশের মতো আমাদের এ ভূমিতেও লেগেছে সমানভাবে।
তবে সেক্ষেত্রেও রয়েছে নানান নিয়ম কানুন। থার্টি-ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস উড়ানো বন্ধে ‘না’ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ব্যত্যয় ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে পরিবেশ অধিদফতর। পরিবেশ, প্রাণী রক্ষা আর বিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিদায় মানেই আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। বিদায়ের দিনে চোখের দৃশ্যপটে একটি বছর যেন এক মুহূর্ত। আজ ভোরের সূর্য আগামীর নতুন পৃথিবী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানান ঘটনা ছাপিয়েও জীবন যাচ্ছে চলে জীবনের গতিতে। এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ, নতুন আশায়, নতুন স্বপ্নের প্রত্যয়ে। স্বাগত ২০২৫…