বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জেরে সিলেটে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, ঘাতক বাস ছাড়াও আরও অন্তত চারটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে অফিসগামীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তারা অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বিকল্প যানবাহনে অফিসে যান। সকালে কদমতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনাল থেকে কোনও বাস জকিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। একইভাবে জকিগঞ্জ থেকেও সিলেটের উদ্দেশে কোনও বাস ছেড়ে আসেনি। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত বলেন, অপরাধী যারাই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা যদি ন্যায়বিচার না পাই তাহলে পরিবহন ধর্মঘট চলতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাসচালক অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে অন্তত চারটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার অভাবে আমাদের চালকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ সড়কে ফুটবল খেলার সময় বাসের ধাক্কায় নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র আবির আহমদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।
জানা যায়, বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে জকিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসচালক। অভিযোগে তিনি অজ্ঞাত অর্ধশত লোককে অভিযুক্ত করেছেন।