দুর্বার রাজশাহীর চ্যালেঞ্জিং ১৯৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৬১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ফরচুন বরিশাল। এরপরও জয় তুলে নিয়েছে দলটি ৪ উইকেটে। যা সম্ভব হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ঝোড়ো ৮৮ রানের জুটিতে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহী ১৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় ফরচুন বরিশালকে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৬ উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ১১২ রানে। সেখান থেকে রিয়াদ ও ফাহিমের জুটি অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছে বরিশালকে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই জিসান আলমের স্পিনে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১২ রানে একইভাবে আউট হন তামিম ইকবালও।
তাকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। কাইল মেয়ার্সকেও দ্রুতই ফেরান তাসকিন। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারায় বরিশাল। সুইপ খেলতে গিয়ে মুশফিকুর রহিম আত্মহুতি দেন হাসান মুরাদের বলে দলীয় ৫১ রানে। ১০ রান পর একই বোলারের বলে আউট হন তাওহিদ হৃদয়ও।
৬১ রানে ৫ উইকেট হারানো বরিশালের হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী তখন শাহিন শাহ আফ্রিদি। দর্শকদের বিনোদন দিয়ে ১৭ বলে ২৭ রান করেন তিনি ৩ ছয় ও ১ চারে। তবে তিনি দীর্ঘায়িত করতে পারেননি ইনিংস।
পরে রিয়াদের সঙ্গে যোগ দিয়ে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন ফাহিম আশরাফ। হাসান মুরাদকে হাঁকান ৩ বলে ৩ ছয়। তাকে পেয়ে আরেকটু চড়াও হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। দুইজনই তুলে নেন অর্ধশতক। ৬ উইকেট হারানো বরিশাল ১৯৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে পারবে না যখন মনে হচ্ছিল তখনই এই দুই ব্যাটার বেধড়ক পিটিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন উল্টো ১১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে। ৪টি ছয় ও ৫ চারে ২৬ বলে ৫৬ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৭ ছয় ও ১ চারে ২১ বলে ৫৪ রান করেছেন ফাহিম আশরাফ। দুইজনই ছিলেন অপরাজিত।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে। ২৫ রানে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বির জুটিতে। এই দুইজন মিলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন।
তাদের জুটি ভাঙে বিজয় ৫১ বলে ৬৫ রান করে বিদায় নিলে। ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ ছয় ও ৭ চারে। তবে তার ইনিংস বিফলে গেছে দলের পরাজয়ে।