দিনের পর দিন সারা বিশ্বে বিমান দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। একের পর বিশ্ব সাক্ষী হচ্ছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার। এতে প্রাণহানী বেড়েই চলেছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) একদিনেই বিশ্ব দেখেছে তিনটি বিমান দুর্ঘটনা। এর মধ্যে কানাডা ও নরওয়ের দুর্ঘটনায় যাত্রীদের তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্ঘটনা ছিল ভয়াবহ।
এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনই নিহত হন। এ ঘটনায় দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দেশটির ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ।
এর আগে, জেজু এয়ারের বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিমানটি ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন কেবিন ক্রু নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ফিরে যাচ্ছিল।
এদিকে, একই দিনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার কানাডার একটি বিমান। দেশটির হালিফাস্ক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে যায় বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের একটি অংশে আগুন ধরে যায়। খবর আনাদোলুর।
ঘটনার পরই ওই বিমানবন্দরটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও এখন পর্যন্ত কানাডার বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর মেলেনি।
হালিফাস্ক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রানওয়ে দিয়ে ছুটে চলেছে একটি বিমান। সেই বিমানের এক অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
এয়ার কানাডার এসি২২৫৯ বিমানটি সেন্ট জন’স থেকে হালিফাস্কে উড়ে আসে। কিন্তু অবতরণের সময়ই বিপত্তি ঘটে।
অপরদিকে, এদিন নরওয়েতে আরও একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার নরওয়ে থেকে নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে যাত্রা করে রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান। তবে উড্ডয়নের পরপরই কোনো কারণে এটি আবারও নরওয়ের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিমানটিতে ১৮২ জন যাত্রী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার পরও তারা সবাই অক্ষত আছেন।
রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ফ্লাইট নম্বর কেএল১২০৪ বিমানটি অসলো টর্প সানডেফজর্ড বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়ে ১৮-এর ডান দিকে ছিটকে পড়ে। বিমানটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই আবারও সেখানে ঘুরে আসে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিনের আগেই কাজাখস্তানেও একটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৩৮ জন প্রাণ হারায়।