আগামী বুধবার (১ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫। পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) এই মেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে আগামী ১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় পূর্বাচল নতুন শহরের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, হাতুড়ি-পেরেকের ঠক ঠক শব্দ, কেউ ছুটছে কাঠ আর বোর্ড নিয়ে, কেউবা দিচ্ছেন রং তুলির আঁচড়, শেষ মুহূর্তের ঝালাই; সব মিলে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ। গত বছর নির্বাচনের কারণে ২০ দিন পিছয়ে শুরু হওয়ায়, প্রস্তুতি কিংবা ব্যবসায় যে ভাটা পড়েছিলো, এ বছর তা কাটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মেলায় অংশ নিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে। ভেতরের কাজ শেষে প্যাভিলিয়ন বা স্টল সাজানো হচ্ছে।
দেশি-বিদেশি মিলে এবার স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা থাকছে ৩২৭টি। বাংলাদেশ বাদে সাতটি ভিন্ন দেশের মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে এবারের আসরে। ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলায় যুক্ত হচ্ছে বেশকিছু নতুনত্ব। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মানার্থে তৈরি করা হচ্ছে শহীদ মুগ্ধ ও আবু সাঈদ কর্নার এবং তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।
তবে অপরিবর্তিত থাকছে প্যাভিলিয়ন, স্টল বা রেস্টুরেন্টের স্পেসের ফ্লোর মূল্য বা ভাড়া। টিকেটের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের গুণতে হবে ৫০ টাকা। ১২ বছরের নিচে হলে টিকেট মূল্য অর্ধেক। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, এ বছর পুরো বরাদ্দ প্রক্রিয়া হয়েছে অনলাইনে। তবে গত বছরের মতো একই ফ্লোর মূল্য বা ভাড়া রাখা হয়েছে এবারও।
মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রত্যাশা নতুনত্বের ছোঁয়ায় এ বছর আরও আকর্ষণীয় হবে বাণিজ্য মেলা। মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণভাবে মেলার সার্বিক কার্যক্রম সাজানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবার বাণিজ্যমেলায় প্রবেশের জন্য থাকছে অনলাইনে টিকেট কাটার ব্যবস্থা। শিশুদের জন্য হচ্ছে প্রযুক্তি ভিত্তিক শিশু পার্ক।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।