Published : Sunday, 29 December, 2024 at 3:25 PM, Update: 29.12.2024 5:53:34 PM
ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। অবরোধের ৩ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও সড়ক ছাড়েনি তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াই টায় সরেজমিনে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, চিকিৎসকরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। মোড় দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।
চিকিৎসকদের শাহবাগ মোড় অবরোধের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ। অবরোধের ফলে সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ, ফার্মগেট থেকে শাহবাগ, মৎসভবন থেকে শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগ অভিমুখী যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ গাড়িই শাহবাগ মোড়ের কাছাকাছি পর্যন্ত এসে ফিরে যাচ্ছেন।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক মো. ইমরান বলেন, আমাদের ২৫ হাজার টাকা ভাতা দেয়া হয়। এই টাকায় বর্তমান সময়ে কি করা যায় বলেন? আমরা কি চিকিৎসক হয়ে ভুল করেছি। দাবির মুখে আমাদের ভাতা ৫ হাজার বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ৫০ হাজার টাকা ভাতা চাই। আমাদের দাবি যৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি।
শাহবাগ মোড়ে পথচারী নাসির উদ্দিন বলেন, গাড়ি চলাচল বন্ধ। হেঁটে যেতে হচ্ছে। এর চেয়ে ভোগান্তি আর হয়না। চিকিৎসকরা আমাদের সেবা দিয়ে থাকেন। দাবি নিয়ে তাদের রাস্তায় নামতে হবে কেন! সরকার তো এসব সমাধান করতে পারে। তখন তো সাধারণ মানুষের আর এত ভোগান্তি হয় না।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসকদের এই অবরোধকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শাহবাগ মোড়েই প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাঁজোয়া যান এপিসি ও জলকামান। এমনকি প্রথম দফায় আন্দোলনের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
এর আগে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। চিকিৎসকদের ‘ঐক্য ঐক্য, চিকিৎসকদের ঐক্য’ ‘চিকিৎসকদের দাবি মানতে হবে, মেনে নাও’, ‘২৪ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দাবি মোদের একটাই ৫০ হাজার ভাতা চাই’, ‘হাসিনার দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাক্তারদের অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এছাড়া অবরোধকে ঘিরে শাহবাগ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।