Published : Saturday, 28 December, 2024 at 9:05 PM
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে এমনটি বলে চালক। র্যাব জানায় বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের (২৬) লাইসেন্স নবায়ন ছিল না এবং তিনি নেশা করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বাসচালকের বরাত দিয়ে জানান, বাসটি অনেকদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। মেরামতের পর সেদিনই সড়কে নামানো হয়। বাসচালক প্রথম থেকেই বুঝতে পারেন ব্রেকে সমস্যা ছিল। মালিককে সেটা জানালে তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে যেতে বলেন।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকবার ব্রেক কষেও থামানো যায়নি বলে দাবি করেছেন চালক। চালক নুর উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে, তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে গতকাল বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন’ বলেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান তাপস কর্মকার। এর আগে, গাজীপুর অঞ্চল হাইওয়ে পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এরপর তিনি জানান, পরিচয় নিশ্চিতের পর বাসচালককে আটক করে তার আত্মীয়কে (ভায়রা ভাই) ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নাহিদ (২৬) নামে বাসচালকের সহকারী এখনো পলাতক।
দুর্ঘটনার বিষয়ে আজই মামলা হবে জানিয়ে আকতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, এবার শুধু বাসচালকের বিরুদ্ধে নয়, দুর্ঘটনায় অন্য যারা সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
তবে র্যাব কর্মকর্তা তাপস কর্মকার বলেন, দুজনকে আটকের খবর আমরা জানি না। আমরা একজনকে আটক করেছি। তাকে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।