এই সরকার এক অর্থে একটি সাংবিধানিক সরকারও নয় আবার বিপ্লবী সরকারও নয়। এজন্য, সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতা দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, এই সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে এই সাহস তারা বিগত সরকারের আমল থেকেই পেয়েছে।
তিনি বলেন, বহু আগে থেকে বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কারের কথা বলছিল, এরই ধারাবাহিকভাবে আমরা এই সরকার সংস্কারের কথা বলছি। আহ্বান থাকবে আমরা বর্তমানে কী করছি এবং ভবিষ্যতে কী থাকবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটি এতদিন ছিল না। তাই বিগত সরকারকে সরাতে গণ-অভ্যুত্থান প্রয়োজন ছিল। ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটি কিভাবে গণতান্ত্রিক হবে তা নিশ্চিত করতে হবে। সহিংস বা প্রতিহিংসার রাজনীতি যাতে ফিরে না আসে, সেই ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় আমাদের ঐক্যে পৌঁছাতে হবে।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত আমাদের দেশে প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের বৈদেশিক নীতিতে ঐকমত্য দরকার। একক বৈদেশিক নীতি থাকা উচিত। জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমলাতন্ত্র নির্ভর করে ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তা আমরা স্বীকার করছি এবং সেখান থেকে কিভাবে বের হওয়া যায় তা চিন্তা করছি।