বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে সরকার দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল এগারোটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলেও তিনি জানান।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। পোস্ট শেয়ার করে তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারা এই অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা দাবি করে মাহিন সরকার তার পোস্টে লেখেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে এই সরকার দেশের তামাম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা স্পষ্টতই প্রহসনের শামিল।
একাত্তরে বাংলাদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার অর্জিত বিজয়কে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত তাদের নিজেদের জয় বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে অবহেলা করা এবং ভারতের এমন ইতিহাস বিকৃতির স্পষ্ট প্রতিবাদ না জানানো স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে উল্লেখ করে তিনি ওই পোস্টে জানান, এরই প্রতিবাদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন নগণ্য অংশীদার হিসেবে আমি মাহিন সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভিকটিম পরিবারগুলোকে সাথে নিয়ে আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করবো। আমার সাথে যদি কেউ না-ও যায়, এমনকি পুরো বাংলাদেশের একজনও যদি আমার পক্ষে না থাকে তবু আমি আমার এই দৃঢ় অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটবো না।
তিনি আরও লেখেন, কোনও ভিনদেশি পরাশক্তি কিংবা হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় আসীন হওয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারও যদি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবু আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আমৃত্যু লড়ে যাবো। এই বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সংস্কার কার্যক্রম কিংবা কমিশন গঠনের নামে দীর্ঘসূত্রতার কোনও পদক্ষেপকে আমি গ্রাহ্য করবো না।