ঢাকার রাজপথে বিজয়ের উল্লাসে মেতেছেন তরুণরা। রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করা আপোসহীন শিক্ষার্থীরা স্মরণ করছেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের। তরুণদের প্রত্যাশা, নতুন বাংলাদেশে থাকবে না আধিপত্যবাদের চোখ রাঙানি।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর পথে পথে দেখা যায়, ছোট-বড়দের হাতে জাতীয় পতাকা, কণ্ঠে স্লোগান। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণও বহুদিন দেখেনি কেউ! মাস কয়েক আগেই রক্ত দিয়ে স্বৈরাচার হটিয়েছেন তরুণরা।
এবার বিজয় দিবস উদ্যাপনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় র্যালি নজর কেড়েছে নগরবাসীর। র্যালিতে অংশ নিতে এক কাতারে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তরুণরা বলছেন, গত ১৫ বছর বিজয়ের স্বাদ পায়নি সাধারণ মানুষ। এক দল এবং গোষ্ঠীর হাতেই বন্দি ছিল স্বাধীনতা। চব্বিশের বিজয় তাই উচ্ছ্বাসের; নতুন এই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় তাদের কণ্ঠে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলছেন, স্বাধীনতার পূর্ণ অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই এবারের বিজয় দিবসের শপথ।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতার পূর্ণ দখলদারিত্ব চাই, যাতে পরবর্তী বাংলাদেশ হবে শুধুই বাংলাদেশের। সেখানে ভারত বা কোনো বিদেশি আগ্রাসন বা অখণ্ডতার প্রতি হুমকি হওয়ার মতো কোনো ব্যাপার থাকবে না। বাংলাদেশ নিজের ভূখণ্ডে একটি কমিউনিটি হয়ে উঠবে এবং আন্তর্জাতিক ভূখণ্ডে একটা সিভিলাইজেশন হয়ে উঠবে।
শুধু রাজধানী নয়, বিজয় দিবসে সারা দেশেই নানা কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।