বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ায় দুদিন আগেই নিজেদের আয়োজিত সকল প্রতিযোগিতার জন্য সাকিব আল হাসানের বোলিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং বিদেশি লিগেও থাকছে তার বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা। তবে বিসিবির অধীনে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় বোলিং করায় বাধা নেই তার।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং বিদেশি লিগে বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি দেশের বাইরে কোনো ধরনের টুর্নামেন্টেই বল করতে পারবেন না এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
আইসিসির বোলিং অ্যাকশন বিধির ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, কোনো জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন কোন ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি পেয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করলে এবং আইসিসি ওই নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক নোটিশ পেলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইসিসির স্বীকৃতি পায়। অর্থাৎ আইসিসি ও অন্যান্য বোর্ডের টুর্নামেন্টে বলবৎ হয় সেই নিষেধাজ্ঞা।
গত সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে টন্টনে সামারসেটের বিপক্ষে একটি ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৩ ওভার বল করেন সাকিব। ৯ উইকেট নেওয়া সেই ম্যাচের দুই আম্পায়ার স্টিভ ও'শনেসি ও ডেভিড মিল্নস তার অ্যাকশন সন্দেহ করে রিপোর্ট জমা দেন। প্রক্রিয়া অনুযায়ী চলতি মাসে ইংল্যান্ডে গিয়ে লাফবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা দেন এই তারকা। কিন্তু পরীক্ষায় উতরাতে পারেননি তিনি।
ইসিবির অধীনে দেয়া সেই পরীক্ষার ফলাফলের স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসিও। ফলে বোলিংয়ে ফিরতে হলে আইসিসি অধীনে স্বীকৃত কোন পরীক্ষাগারে পুনরায় বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে সাকিবকে। সেই পরীক্ষায় তার বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটিহীন প্রমাণিত হলেই কেবল আন্তর্জাতিক ও দেশের বাইরের টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন তিনি। তবে যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন সাকিব।