রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় তার লাশ উদ্ধার করে সহপাঠীরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল প্রভোস্ট আবেদা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তাকিয়া মাগুরা সদর উপজেলারা পারান্দুয়ালী এলাকার ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনর মেয়ে।
তাকিয়ার সহপাঠী ও হল প্রভোস্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অনিয়মিত ছিলেন। তিনি সাভারে তার মামার বাসায় থেকে ক্লাস করতেন। শনিবার হলে আসেন। অন্য রুমমেটরা হলে না থাকায় তিনি একাই রুমে ছিলেন। তার মোবাইল ফোনে দেখা গেছে, ফাঁস নেয়ার আগে ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ভিডিও কলে কথা বলেছেন।
সহপাঠীরা জানান, ভিডিও কলে থাকা ব্যক্তিটি তাকিয়ার প্রেমিক সাব্বির। কলে তাদের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সাব্বিরকে ভিডিও কলে রেখেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নেয়ার চেষ্টা করেন তাকিয়া। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের বিষয়টি জানান সাব্বির। তারা হল প্রভোস্টকে জানান। পরে দরজা ভেঙে তাকিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সহপাঠীরা। উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট আবেদা সুলতানা বলেন, আমি গত রাতে প্রায় ১০টা পর্যন্ত হলে ছিলাম। আনুমানিক রাত ৫টার দিকে আমার কাছে এই তথ্য দেয় মেয়েরা। আমি তাকিয়াকে উদ্ধার করতে বলি এবং হল সুপারকে বিষয়টি জানাই। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল সেন্টারে ফোন দিয়ে চিকিৎসককে সেখানে যেতে বলি। মেয়েরা প্রথমে দরজা ভাঙতে ভয় পাচ্ছিল। এক পর্যায়ে কিছু মেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। তাই আমরা পুলিশে জানিয়েছি। পুলিশ এসেছে। তাকিয়ার বাড়িতেও জানানো হয়েছে। স্থানীয় অভিভাবক তার মামা এসেছেন। তার রুমে কিছু ডায়েরি ও মোবাইল ফোনসহ কিছু জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ সেগুলো দেখছে। সেখানে হয়তো কিছু থাকতে পারে।