মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের ভুবন মোহন পার্কে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি বিছানার চাদর পোড়ান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির এই নেতা স্ত্রীর শাড়ি পুড়িয়ে দেন। তারও আগে নিজের গায়ের শাল পুড়িয়েছেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানে রিজভী বলেনবলেন, এটা ভারতের রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের একটি টেক্সটাইলের বেডশিট। আজকে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই বেডশিট পুড়িয়ে দিলাম।।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশিদের ভারত থেকে শাড়ি, সাবান, বিছানার চাদর বা অন্য কিছু কেনা উচিত নয়। বর্তমানে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। সিন্ডিকেট করে সংকট তৈরি করা হয়েছে টাকা লুটপাট করার জন্য।
রিজভী বলেন, মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠাতে বলেছে। একটি সার্বভৌমত্বের দেশে কীভাবে অন্য একটি বাহিনী পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, আদতে ভারতের রাজনীতিবিদদের গোড়া রসুনের মত একই জায়গায়। তারা এদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না; বন্ধুত্ব করে শেখ হাসিনার সঙ্গে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন: জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী এশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ।
বক্তব্য শেষে রুহুল কবির রিজভী স্বল্প মূল্যে লুঙ্গি, শাড়ি, সাবান ও পাঞ্জাবি বিতরণ করেন প্রান্তিক মানুষের মধ্যে।