Published : Sunday, 8 December, 2024 at 5:27 PM, Update: 08.12.2024 5:40:31 PM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেছেন, প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে, থাকছে না কোন পোষ্য কোটা।
রোববার (০৮ ডিসেম্বর) খুলনায় বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগে একটি উপজেলার মোট শূন্য পদের ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা নির্ধারিত ছিল।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ২১ জুলাই কোটার নতুন বিন্যাস ঠিক করে রায় দেয় হাই কোর্ট। একদিন বাদে ওই রায় অনুযায়ী সব গ্রেডের নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
এর মধ্যে আছে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা।
দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে উপদেষ্টা বিধান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য দরকার সমাজের সকলের সামগ্রিক অংশগ্রহণ। সকলের সহযোগিতায় শিশুদের স্বাক্ষর করে গড়ে তোলা সম্ভব।
“আমাদের দেশে প্রাথমিকের ভৌত অবকাঠামো সুন্দর। কিছু এলাকায় সমস্যা আছে; সেগুলো সুন্দর করা হচ্ছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় দৃষ্টিনন্দন স্কুল নির্মাণ করা হচ্ছে।”
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল' চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি একনেকে পাসের অপেক্ষায় আছে। প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি উপজেলার সব স্কুলে এই মিড ডে মিল চালু হবে। কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ দেশের কিছু স্কুলে মিড ডে মিল চালু আছে।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য উপবৃত্তি চালু করা হয়েছিল জানিয়ে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, এতে বিশাল ব্যয় হচ্ছে । কিন্তু এটি যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সেখানে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জিত হচ্ছে না ।
“উপবৃত্তির জন্য প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নাম থাকে, কিন্তু তারা অন্য স্কুলে অধ্যয়ন করছে।”
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী।