Published : Wednesday, 4 December, 2024 at 9:48 AM
প্রথম টেস্ট ব্যাটিং বিপর্যে হেরে যাওয়ার কারণে সিরিজ হাতছাড়া পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল এক মাত্র ঘুঁরে দাড়ানোর। টাইগারদের বোলিং তোপের কারণে ঘুরে দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
জ্যামাইকায় কিংস্টন টেস্টে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ক্যারিবিয়ানদের ১০১ রানে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রটাও তাতে বাংলাদেশ জয় দিয়েই শেষ করেছে তারা।
কিংসটনে ১০১ রানের জয়ের মাধ্যমে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয় পেলো টাইগাররা। সবশেষ ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ থেকে টেস্টে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজ দিয়েই অধিনায়কত্বের শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই সাকিব এখন ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন। এমন জয়ে তাই উচ্ছ্বসিত হওয়াটাই বেশ স্বাভাবিক।
কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই মাঠে ২১২ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। এবার উইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ২৮৭ রানের। টপ-অর্ডারের শুরুটা নেহাত মন্দ ছিল না। তবে অভিজ্ঞ তাইজুলের ঘূর্ণি আরও একবার পথ দেখাল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
জ্যামাইকায় কিংস্টন টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নাহিদ রানার ৫ উইকেট শিকারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দলের হয়ে চতুর্থ দিনে অনেকটা একাই লড়াই করেছেন জাকের আলি। তবে ৯ রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। ৫ ছক্কা ও ৮ চারে ৯১ রান করেন জাকের। তার ব্যাটে ভর করে ২৬৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭ রানের।
২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তাইজুল ও তাসকিন আহমেদ। উইন্ডিজের হয়ে ব্রাফেট ৪৩ ও হজ ৫৫ রান করে আউট হয়েছেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ১৮৫ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। তাইজুল নেন ৫টি উইকেট। এ ছাড়া তাসকিন ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।