Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী প্রমাণিত ■ বিএসএমএমইউর নতুন ভিসি ■ আমু-কামরুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের ■ মমতা ব্যানার্জির মনে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ ■ বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে ■ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না ■ ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
৩৫০ ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ও বহুতল ভবন
যুক্তরাজ্যে পাচারের অর্থে সম্পত্তি গড়ে তোলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা
Published : Monday, 2 December, 2024 at 8:21 AM

যুক্তরাজ্যে পাচারের অর্থে সম্পত্তি গড়ে তোলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা

যুক্তরাজ্যে পাচারের অর্থে সম্পত্তি গড়ে তোলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এমপি-মন্ত্রী, রাজনীতিক-ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালীদের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ও বহুতল ভবনসহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির আবাসন খাতে তাদের বিনিয়োগ করা সম্পত্তির পরিমাণ ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভার ও বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে- বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়েই এসব সম্পত্তি কেনা হয়েছে।

অবজারভার ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধানে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে প্রায় ৩৫০টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে সুবিশাল অট্টালিকা (ম্যানশন) পর্যন্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও দেশটির বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (অফশোর কোম্পানি) নামে এই সম্পত্তির অনেকগুলো কেনা হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা সম্পত্তির অনেকগুলোর মালিকানায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও দেশের অন্য একটি ব্যবসায়িক গ্রুপের পরিবারের সদস্যরা। 

এছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরও অনেক সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে।

সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে কারাবন্দি। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে বাংলাদেশের সিআইডি। এছাড়া সালমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

অনুসন্ধান অনুযায়ী, সালমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের মেফেয়ার এলাকার গ্রোসভেনর স্কয়ারে ৭টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানা ও অংশীদারত্ব রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা। 

এর মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান। সেখানে ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ডে কেনা তার একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে।

গ্রোসভেনর স্কয়ার এবং এর কাছাকাছি এই পরিবারের আরেক সদস্য আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের আরো চারটি সম্পত্তি রয়েছে। এর মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড। অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে এসব সম্পত্তি কেনা। এ বিষয়ে শায়ান রহমান ও শাহরিয়ার রহমানের আইনজীবীরা বলেছেন, মানিলন্ডারিং আইনসহ আর্থিক বিধিবিধান পরিপূর্ণভাবে মেনেই সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের ৩০০টির বেশি সম্পদ রয়েছে। এগুলোর মূল্য অন্তত ১৬ কোটি পাউন্ড। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বৈশ্বিক সম্পত্তি নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ শিরোনামের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল-জাজিরা। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশে থাকা তার সম্পত্তির মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে বিএফআইইউ। তার ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ওপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এছাড়া অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধান বলেছে, রাজনীতিকদের বাইরে বাংলাদেশের ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদেরও যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের সারে এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের সদস্যদের দুটি সম্পত্তি রয়েছে। ১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড দিয়ে অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে এসব সম্পত্তি কেনা হয়েছে। এছাড়া ঐ এলাকায় আহমেদ আকবর সোবহানের এক ছেলের মালিকানাধীন একটি অট্টালিকার সন্ধান পেয়েছে অবজারভার।

গত ২১ অক্টোবর আহমেদ আকবর সোবহানসহ তার পরিবারের ৬ সদস্যের ওপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সাফওয়ান সোবহান জানিয়েন, তাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে তার পরিবার।

এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে সিআইডি। দেশটিতে তার সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে। 

লন্ডনের কেনসিংটনে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কীভাবে ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডের পাঁচটি সম্পত্তি কিনেছেন তা খতিয়ে দেখতে চায় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে এসব সম্পত্তি অবৈধ উপায়ে কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার।

দেশসংবাদ/এএসএম


আপনার মতামত দিন
ব্যর্থতার মিশন শেষে দেশে ফিরল টাইগাররা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
Sunday, 13 October, 2024
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up