ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছয় মাসের মধ্যে বর্তমানের দ্বিগুণের কাছাকাছি ঠেকবে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, আমরা দেশের আর্থিক খাতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। সামনে খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। এখন যা সাড়ে ১২ শতাংশ। আগামী মাসে তা ১৫ শতাংশ, এরপর ১৭ শতাংশ হয়ে ধীরে ধীরে ৩০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। এই খেলাপি আগেই হয়ে আছে। এখন হিসাবে তা আসবে। এটা কমিয়ে আনতে আমরা কাজ শুরু করেছি।
রোববার (০১ ডিসেম্বর) দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রণীত শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়ার পর সেখানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গভর্নর বলেন, সামনে খেলাপি ঋণ যেটা দাঁড়াবে তার অর্ধেক বা আড়াই লাখ কোটি টাকা হবে এস আলম, সাইফুজ্জামানসহ (সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী) বড় কয়েকটি গ্রুপ ও ব্যবসায়ীর। ২০১৭ সালের পরে এসব ঋণ নেয়া হয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পাচার করা হয়।
খেলাপি ঋণ কমাতে কী কী করতে হবে সে বিষয়ে আহসান মনসুর বলেন, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করার এবং নিয়ম-নীতি অনুসরণ করাতে জোর দিতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান পরীক্ষা করব। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে ১২টি ব্যাংক এবং পরে ২০টি ব্যাংকে নিরীক্ষা করা হবে। এর মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র উদঘাটিত হবে।
ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইন করা হচ্ছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা নেয়া হচ্ছে। আমরা একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সম্পদের মান যাচাই করে প্রমাণ সংগ্রহ করব এবং অর্থ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাব।