মূল কাজটা করে দিয়েছিল বোলাররাই। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রাখেন তারা। এরপর জাওয়াদ আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ব্যাটে লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হয়নি যুবা টাইগারদের। ফলে নেপালের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
রোববার (০১ ডিসেম্বর) অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.৪ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয় নেপাল। রান তাড়ায় নেমে ১২৮ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আসরে এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানের জয়ে সেমির পথ পরিষ্কার করে রেখেছিল বাংলাদেশ। এদিন নেপালের বিপক্ষে জয়ে সেমি-ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয় তাদের। একই দিনে অপর ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জয় পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায় শেষ চার।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ওপেনার কালাম সিদ্দিকিকে হারিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল যুবারা। দ্বিতীয় উইকেটে জাওয়াদের সঙ্গে অধিনায়ক আজিজুলের ব্যাটেই জয়ের পথ তৈরি হয়ে যায়। ৯০ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। জাওয়াদকে বিদায় করে এ জুটি ভাঙেন যুবরাজ খাত্রি। এক বল পর চারে নামা শিহাব জেমসকেও ফেরান এই স্পিনার।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে উইকেটরক্ষক ফরিদ হাসানের সঙ্গে ৪৩ রানের আরও একটি জুটি গড়েন অধিনায়ক। এরপর ফের জোড়া ধাক্কা দেন খাত্রি। ফরিদকে তুলে নেওয়ার পরের বলে রিজান হোসেনকে ফেরান এই আফগান স্পিনার। তবে ততোক্ষণে জয়ের খুব কাছে বাংলাদেশ। বাকি কাজ দেবাসিস দেবাকে নিয়ে শেষ করেন আজিজুল।
আগের ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া অধিনায়ক এদিন শেষ পর্যন্ত ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭২ বলের ইনিংসটি সাজান ২টি চার ও ৩টি ছক্কায়। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন জাওয়াদ। ৬৫ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই ওপেনার। নেপালের খাত্রি ২৩ রানের খরচায় নেন ৪ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেপাল। তবে আকাশ ত্রিপাঠি এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। তবে তাতে খুব একা লাভ হয়নি। তার বিদায়ের পর কিছুটা চেষ্টা চালান উত্তম মাগার ও অভিষেক তিওয়ারি। তাতে সাদামাটা পুঁজি পায় নেপাল।
তবে পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ত্রিপাঠি। ৭৭ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া উত্তম ও অভিষেক দুইজনই খেলেন ২৯ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ। ইকবাল হোসেন ইমন ও রিজান হোসেন।