ম্যাচ-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ক্রিকেটার। যদিও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সেই কাণ্ডে তারা জড়িয়েছিলেন ২০১৫-১৬ টি-টোয়েন্টি র্যাম স্লাম চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে। গ্রেপ্তার দুজন লনওয়াবো টটসবে ও থামি সোলেকিলে প্রোটিয়াদের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও, ইথি এমবালাটির সেই অভিজ্ঞতা নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নীতি বিষয়ক সংস্থা ডিরেক্টরেট ফর প্রায়োরিটি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন (ডিপিসিআই), যারা হকস নামেও পরিচিত, প্রায় ৮ বছর পর ফিক্সিংয়ের দায়ে এই তিন ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করে। তবে তারা সংস্থাটির জালে ধরা পড়েছেন ভিন্ন তিনটি সময়ে। এমবালাটি ১৮ নভেম্বর এবং সোলকিলে ও টটসবেকে যথাক্রমে ২৮-২৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চমক জাগানিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্তকারী সংস্থা ডিপিসিআই। মূলত অভিযুক্ত হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে ক্রিকেট ম্যাচে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় এই তিনজনের।
এমবালাতির মামলা আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে প্রিটোরিয়ার স্পেশালাইজড কমার্শিয়াল ক্রাইমস কোর্ট। এছাড়া সোতসোবে ও সোলকাইলকেও আদালতে তোলা হয় আজ।
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী, পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। তবে তাদের মামলাও আগামী বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
একই টুর্নামেন্টে ভারতীয় বুকমেকারদের সঙ্গে মিলে তিনটি ম্যাচে খেলোয়াড়দের দ্বারা ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক খেলোয়াড় গুলাম বোদি। এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার এক দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে বোদিকে গ্রেপ্তার করে হকস। আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।