চ্যাম্পিয়নরা খেললো চ্যাম্পিয়নদের মতোই। ২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের যুবারা। এবার সেখান থেকেই যেন শুরু করলো তারা। ২০২৪ সালের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৫ রানের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে ১৮৩ রানে অলআউট করে দেয় আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমনরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ৮ চার ৪ ছক্কায় ১৩৩ বল খেলে ১০৩ রানের অকুতোভয় ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।
৫ বলে ০ রানে ওপেনার জাওয়াদ আবরার আউট হলে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপরই বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পরবর্তী দুই ব্যাটার কালাম সিদ্দিকি ও আজিজুল হাকিম তামিম। ১৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা।
১১০ বলে ৬৬ রান করে ওপেনার কালাম সিদ্দিকি আউট হলে জুটি ভাঙে। ৫ চার আর এক ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। আল্লাহ গজনফারের বলে বোল্ডা হন তিনি।
নতুন ব্যাটার দেবাশীষ দেবা দাঁড়াতে পারেননি। ৬ বলে ১ রান করে বিদায় নেন। ১০ রানের বেশি করতে পারেননি মোহাম্মদ শিহাব জেমস। আজিজুল তাদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন। রিজান আহমেদ করেন ৯ বলে ৫ রান।
৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আজিজুল। নুরিস্তানি ওমরজাইয়ের পরের বলে উজাইরুল্লাহর হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১০ বলে ১১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রাফিউজ্জামান রাফি। তার সঙ্গে ছিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। এতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২৮ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই থিতু হয়ে খেলার চেষ্টা করে আফগানিস্তান। এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে আফগানদের ছিল ১৩৭ রান। তখন ৩৫ ওভারের খেলা শেষ। যে কারণে রানেরও একট চাপ পড়ে আফগানদের ওপর।
শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে পতন শুরু হয় আফগানদের। ৪৬ রানে হারায় ৭ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় আফগানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৫৮ রানের (৬ চার এক ছক্কা) ইনিংস খেলেন ফয়সাল খান আহমেদজাই। ৬০ বলে ৩৪ রান করেন নাসের খান মারুফখিল।
আফগানিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আব্দুল আজিজ, নুরিস্তানি ওমরজাই, খাতির স্ট্যানিকজাই। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমন।