Published : Thursday, 28 November, 2024 at 11:58 PM
হিন্দুদের শত শত মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো অতিরঞ্জিত খবরও প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। মূলতছাত্র-জনতার আন্দোলনে পর শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত অভিযোগ করে আসছে বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
এসবের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে সরেজমিন প্রতিবেদন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের অতিরঞ্জিত ও কথিত অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করা বন্ধ হয়নি।
এর মধ্যেই বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভারতের সংসদ লোকসভায় এসব প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং সংসদে বলেন, ‘বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনার তথ্য শোনা গেছে। ভারত সরকার এ ব্যাপারে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তাঁতিবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা, সাতক্ষীরার কালী মন্দির থেকে দুর্গাপূজার সময় সোনার মুকুট চুরির ঘটনা।’
তিনি বলেন,‘ভারত সরকার হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর প্রার্থনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া সংখ্যালঘুসহ দেশটির সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।