Published : Wednesday, 27 November, 2024 at 10:38 AM
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদের ডি-চকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। এ জন্য তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গত ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
তবে সরকারের বাধায় দলটির এই যাত্রায় ধীর গতি আসে। সবশেষ ইমরান সমর্থকরা ২৬ নভেম্বর রাতে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও ব্যাপক ধরপাকড় ও আটকের জেরে ইসলামাবাদে প্রায় তিন দিন ধরে চলা বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইমরান খানের দল ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) পিটিআইয়ের মিডিয়া সেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারের নৃশংস পদক্ষেপের কারণে শান্তিপূর্ণ সামবেশ আপাতত স্থগিত করা হলো।
পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদ অভিমুখে রওনা দেন পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তারা ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন।
ইসলামাবাদে পুলিশ ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের সংঘাত শুরু হয় তাদের। এতে পুলিশ-রেঞ্জার্স এবং পিটিআইয়ের মোট ৬ জন নিহত হন বলে দাবি করেছেন সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্য আগে থেকেই রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করেছিল সরকার। পিটিআইয়ের যে কোনো কর্মী-সমর্থককে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশও দেয়া হয়েছিল। তবে সেনা বাহিনী গুলি চালিয়েছে— এমন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
তবে ইসলামাবাদের রেড জোন এবং ডি চকে পৌঁছানোর পর পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং সেনা সদস্যদের হাতে ব্যাপক ধরপাকড়ের শিকার হন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। এই ধরপাকড়ের একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে ‘পালিয়ে যান’ এই আন্দোলন কর্মসূচির শীর্ষ দুই নেতা খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপোর এবং ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি।
পরে রাতে এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ জানান, ইসলামাবাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পিটিআইয়ের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।