গ্রিসের কোস্ট গার্ড সামো দ্বীপের উপকূল থেকে ছয় শিশুসহ আটজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ মাসেই এজিয়ান সাগরে এটি দ্বিতীয় বড় নৌকাডুবির ঘটনা।
কোস্ট গার্ডের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৫ নভেম্বর) উত্তর সামো থেকে আরও ৩৬ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপের একটি পাথুরে এলাকায় আটকে পড়া তিনজনকেও উদ্ধার করেছে তারা।
কোস্ট গার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা এ দুর্ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল। তবে এখনও কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কিনা, তা নিশ্চিত নয়। নৌকায় থাকা ব্যক্তিদের জাতীয়তাও জানা যায়নি।
এদিকে, লেসবস দ্বীপে আরেকটি ঘটনায় একটি ছোট নৌকায় করে ২৭ জন অভিবাসী তীরে পৌঁছানোর পর এক বৃদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে কোস্ট গার্ড জানিয়েছে।
গ্রিস দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে অভিবাসীদের জন্য ইউরোপে প্রবেশের একটি প্রিয় পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০১৫-১৬ সালে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসী তুরস্ক থেকে গ্রিসের পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোতে প্রবেশ করেছিল। এই বিপজ্জনক যাত্রায় বহু মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছে।
যদিও পরবর্তী বছরগুলোতে অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা কমে আসে, গত বছর থেকে এটি আবার বাড়তে শুরু করে। গ্রিসের এই পরিস্থিতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।
অভিবাসীদের জন্য ইউরোপে প্রবেশের এই বিপজ্জনক যাত্রা এক অনবরত মানবিক সংকট তুলে ধরছে। এই ট্র্যাজেডিগুলো একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, অভিবাসন নীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন অপরিহার্য।