টানা কয়েকদিন ধরে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ কর্মসূচি। সকাল-বিকাল সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছেন চালকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার ( ২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার করাসহ ১১ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় বেলা ১১টার দিকে জড়ো হয়েছেন হাজারো ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক। এসময় পল্টন-প্রেস ক্লাব ও হাইকোর্ট এলাকার সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয় যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই পথে চলাচলকারী বাসে আটকে থাকা শত শত যাত্রী।
আসাদগেট এলাকা থেকে সাভার পরিবহনে চড়ে আসা একজন যাত্রী রাকিবুল হাসান জানান, তাকে বহন করা বাসটি মৎস্য ভবনের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর যানজটের কারণে আকটা পড়ে। পরে তিনি জানতে পারেন প্রেসক্লাবের দিকে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন চলছে। উপায় না পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে তিনি হেঁটে রওনা দেন শুলিস্তানের উদ্দেশে।
আরেকযাত্রী শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে রাস্তাঘাটের যে পরিস্থিতি, কথা কথায় সড়ক বন্ধ করে দেয়। সাধারণ মানুষ নিয়ে কেউ ভাবে না। আন্দোলন তো আরও অনেকেভাবেই করা যায়। কিছু হলেই রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত।
এছাড়া আজ সকাল থেকে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেয়ার দাবিতে মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রিকশা চালকেরা। এ কারণে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর ও গাবতলী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) স্নেহাশিস কুমার দাস বলেন, কিছু পয়েন্টে সড়কে বিক্ষোভের কারণে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। এসব কারণে মগবাজারে ফ্লাইওভারে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ধীরে ধীরে চাপটা আরও কিছুক্ষণ বাড়বে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বলেন, ঢাকাতে এক জায়গায় সড়ক বন্ধ হলে অন্যান্য এলাকায় চাপ সৃষ্টি হতে সময় লাগে না। বিকালের দিকে চাপ বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।