ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার ও বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স ও যৌক্তিক রুট পারমিটের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে অবরোধ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। ফলে পল্টন-প্রেস ক্লাব ও হাইকোর্ট এলাকার সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই পথে আসা যাত্রীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় অবরোধ শুরু করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
এ বিষয়ে উপস্থিত অবরোধকারীরা বলেন, ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের আদেশে ঢাকা মহানগরীতে ৮-১০ লাখ চালক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এসময় ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও আন্দোলনে আটক ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করবো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা বিশাল একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মাজার মোড় ও কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে তারা রাস্তায় বসে পড়েন।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের পরদিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা।