Published : Saturday, 23 November, 2024 at 9:24 AM
বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই ভদ্রলোক অত্যন্ত ত্যাড়া প্রকৃতির, তিনি বিএনপি-জামাত সরকারের সময় জ্বালানি মন্ত্রানালয়ে সচিব হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন এবং গোটা সচিবালয়ে তিনি সৎ মানুষ হিসাবে খ্যাত ছিলেন।
তথ্যে জানা যায়, তিনি তাঁর নিজ পুত্রের জন্যও একটা বিশেষ ব্যাপারে তদবির করেননি।
সে সময়ে দ্রুত বিদ্যুত সমস্যা সমাধানের জন্য "কুইক রেন্টাল" পাওয়ার প্ল্যান্টের আইডিয়া সরকারের কাছে দেয়া হয়।
সে আইডিয়া নাকি এই ব্যক্তির কারণেই ফ্লোট করা হইছিলো।
এই ভদ্রলোক এবং ওই সময়ের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান কুইক রেন্টালের সরাসরি বিরোধিতা করে এক পর্যায়ে পদত্যাগের হুমকিও দেন।
এগুলি আমার অনুসন্ধানী তথ্য!
আমি যদি ভুল না করে থাকি তবে
যে যাই বলুক উনারে দিয়ে কারো পক্ষেই নির্বাচন রিগ করানো অসম্ভব।
এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন সরকারি কর্মজীবনে উচ্চ র্যংকিং পাওয়া বাংলাদেশের সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ১৪তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব, এএমএম নাসির উদ্দীন।
তাঁর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়াতে। তিনি সেখানে ১জুলাই ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
নাসির উদ্দিন কৃতিত্বতার সহিত স্কুল ও কলেজ জীবনে সমাপনী টেনে ১৯৭৭ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক উত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর শিক্ষকতা দিয়ে কর্ম জীবনে পা রাখেন।
এর দুবছর পর ১৯৭৯ সালে তিনি বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে একজন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা হিসাবে সরকারি কর্ম জীবন শুরু করেন।
তিনি জ্বালানি মন্ত্রণালয় ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের শুরুর সাল ২০০৯ এ অবসরে যান।
জনাব, নাসির উদ্দিন গত দিন (২১নভেম্বর ২০২৪) রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কতৃক নিয়োগে পেয়ে বাংলাদেশের ১৪ তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
জাতির পাহাড় পরিমাণ প্রত্যাশা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করা এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের হাতেই রয়েছে আগামী নির্বাচন তথা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ।
আল্লাহ তাঁর ওপর অর্পিত এই গুরু দায়িত্ব তাঁকে যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দান করুন! আমিন