Published : Thursday, 21 November, 2024 at 2:19 PM
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন অটোরিকশা চালকরা। মহাখালীতে তারা রেললাইনে বসে পড়ায় বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এ অবস্থায় তাদের সরিয়ে দিতে রাস্তায় নেমেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা অটোরিকশা চালকদের ধাওয়া দেয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পাল্টা জবাবে আন্দোলনকারীরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে। এ ঘটনায় সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, অটোরিকশা চালকরা মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। তাদের অবস্থানের কারণে তীব্র যানজট লেগে জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ অবস্থায় তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দেন। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক-ওদিকে পালিয়ে যান। পরে তাদের রেলগেটের পাশের সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এদিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্ত্বরে অবস্থান নেয়া রিকশাচালকদের ধাওয়া দেয় সেনাবাহিনী। পরে তারা সেখান থেকে সরে গিয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে থেকে আগারগাঁও, কল্যাণপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, ডেমরা এলাকায় অটোরিকশা চালকরা সড়ক বন্ধ করে দেন। সড়ক অবরোধ করে তারা আন্দোলন করছেন।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতের ওই নির্দেশনার পর পরের দিন বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রিকশাচালকরা ওইদিন কয়েক ঘণ্টা রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে আন্দোলন করেন। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।