Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন হতে পারে ■ জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান ■ আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না ■ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প ■ পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে ■ সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদীর জামিন স্থগিত ■ ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকদের বিক্ষোভ, বন্ধ যান চলাচল
২০০৫ ও ২০১১ সালের পরিপত্র বাতিল করে
দীর্ঘমেয়াদী লিজকৃত ভূমির নামজারী ও খাজনা নেয়ার দাবি
Published : Wednesday, 20 November, 2024 at 10:01 AM, Update: 20.11.2024 10:59:16 AM

সংবাদ সম্মেলনে খাসমহল ভূমির ভুক্তভোগী মালিকরা

সংবাদ সম্মেলনে খাসমহল ভূমির ভুক্তভোগী মালিকরা

দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্তীয় অকৃষি খাসমহল ভূমির হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুততর ও সহজ করতে ২০০৫ ও ২০১১ সালের পরিপত্র বাতিল করে ১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপন বহালের মাধ্যমে নামজারী ও খাজনা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে পুরানা পল্টন ও সেগুনবাগিচা খাসমহল ভূমির ভুক্তভোগী মালিক কমিটি।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯২৪ সালে পল্টন ও সেগুনবাগিচাসহ ঢাকাস্থ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসতি গড়ে তোলার জন্য অকৃষি পতিত জমিসমূহ দীর্ঘমেয়াদী লিজ বরাদ্দ দেন তৎকালীন সরকার। তারপর ১৯৫৪ সালে ভূমি মালিকগণ প্রথমবার তা নবায়ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয়, পূর্বতন খাসমহলের চিরন্তন নবায়নযোগ্য দীর্ঘ মেয়াদী লীজকৃত অকৃষি খাস জমিসমূহ স্থায়ী বন্দোবস্ত বলে বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যতে তা আর নবায়নের প্রয়োজন হবে না।

তারা বলেন, উক্ত প্রজ্ঞাপনের যারা অজ্ঞাতসারে লিজ নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন, তা আর নবায়নের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরবর্তীতে ২০ বছর পর ভূমি মালিক ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর সমূহের অজ্ঞাতসারে ১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপণটি বাতিল করে ২০০৫ সালে আরেকটি প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়। অথচ এই ২০ বছরে প্রায় প্রতিটি ভূমি মালিকানা পরিবর্তনসহ বিভিন্নভাবে বিবর্তন করা হয়।

তারা আরও বলেন, তারপর সিটি জরিপের সময় এস.এ. ও আর.এস. নামজারী পর্চা মূলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে রেকর্ড করা হয়, ফলে রেকর্ডমূলে ভূমি বা ফ্ল্যাট মালিকগণও নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে নির্মিত ফ্ল্যাট বা অফিসসমূহ সাফকবলা দলিলের মাধ্যমে যথারীতি বেচা-কেনাসহ যাবতীয় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলে, অথচ সরকারের পক্ষ থেকে ওজর আপত্তি ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে আসছে। এসব ভূমিতে আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে নক্শা অনুমোদনের সময়েও কোনরূপ আপত্তি করা হয়নি। এরপর ২০১১ সালে ২টি সম্পূরক পরিপত্রের মাধ্যমে সরকার উক্ত জমির খাজনা গ্রহণ এবং সকল ধরনের হস্তান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়; ফলে লিজ সূত্রে ভূমি মালিকগণের নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ায় আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়ি।

তারা জানান, ১৯৮৫ সালের পরিপত্র বাতিল করায় ভূমি/ফ্ল্যাট/অফিস স্পেস বিক্রি না হওয়ায় অনেক ভূমিতে ডেভেলপার কর্তৃক ভবন নির্মিত হয়, কিন্তু রেজিস্ট্রেশন কার্য্য বন্ধ থাকায় ফ্ল্যাট ক্রেতাগণ অর্থ পরিশোধ করছেন না, ব্যাংক বা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিকট থেকে গৃহায়ণ ঋণ পাওয়া যাচ্ছেনা। যার ফলে প্রজেক্টের কাজও শেষ হচ্ছে না। এতে ভূমির মালিক বাড়ী ছাড়া হয়ে ভাড়া আয় হতে বঞ্চিত, ফ্ল্যাট মালিকগণ তাদের জীবনের সঞ্চয়টুকু ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেও ফ্ল্যাট পজেশন বুঝে পাচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ ফ্ল্যাট বুঝে পেলেও রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় নামজারী-খাজনা করাতে পারছেন না।

ভূমি মালিকগণ বলেন, ২০০৫ ও ২০১১ সালে জারিকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার দেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিককে পারিবারিক, সামাজিক, আর্থিক ও বিভিন্ন আইনী জটিলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মতিঝিল, পল্টন, সেগুনবাগিচা, রমনা, কাকরাইল, ওয়ারী, গেন্ডারিয়াসহ ঢাকাস্থ বেশ কয়েকটি এলাকায় সরকারের দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্তীয় খাসমহল ভূমির মালিকগণ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, বর্তমানে নিজের ভিটি-ভূমিতেই উদ্বাস্তু অবস্থায় আছেন।

২০০৫ সালের ও ২০১১ সালের এতদ্সংশ্লিষ্ট সকল পরিপত্র বাতিল করে ১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপনটি বহাল রেখে অত্র লীজকৃত ভূমি সমূহের নামজারী ও খাজনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাহী আদেশ প্রদানের মাধ্যমে এ বিশাল ভূক্তভোগী জনমানুষকে অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান এই সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পুরানা পল্টন ও সেগুনবাগিচা খাসমহল ভূমির ভুক্তভোগী মালিক কমিটি’র সভাপতি আবু খালিদ মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি আবু জামাল সাঈদ আহমেদ, খন্দকার আবদুর রব ও হাজী ওসমান গণি, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

দেশসংবাদ/এমএম/এমএইচ


আপনার মতামত দিন
বিদায়ী সুরের মাঝে প্রতিমা বিসর্জন আজ
দেশসংবাদ ডেস্ক
Sunday, 13 October, 2024
আজ শারদীয় দুর্গোৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক
Wednesday, 9 October, 2024
সার্টিফিকেট হারানো বিজ্ঞপ্তি
দেশ সংবাদ ডেস্ক
Wednesday, 18 September, 2024
মধু পূর্ণিমা আজ
ধর্ম ডেস্ক
Tuesday, 17 September, 2024
আজ শুভ জন্মাষ্টমী
ধর্ম ডেস্ক
Monday, 26 August, 2024
আজকের রাশিফল: ৬ জুলাই ২০২৪
দেশসংবাদ ডেস্ক
Saturday, 6 July, 2024
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up